মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ পালন করেছে বিএনপি মালয়েশিয়া।
গতকাল ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে বিএনপি মালয়েশিয়া ও এর অংগ সংগঠন মিলে পালন করেছে দিবস টি, কুয়ালালামপুর জালান আম্পাঙ্গে অবস্থিত হোটেল ইন্তারকন্টিনেন্টালের বল রুমে সন্ধা ৭.০০ ঘটিকায় অসংখ্য নেতাকর্মিদের উপস্থিতিতে ভাবগম্ভির পরিবেশে পালিত হয়েছে মহান এই দিনটি।
দলের সহসভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তালহা মাহমুদের সভাপত্বিত্বে আলচোনা ও দোয়া সভাটি সঞ্চালনা করেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা সালাহ উদ্দিন ও দলের প্রচার সম্পাদক এস এম বশির আলম। সভার শুরুতে পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত করেন মৌলানা মোঃ একরামুল হোসেন, পরে জাতীয় ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সদস্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহি কমিটি ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতা বলে বর্তমানে কিছু নেই, সমস্ত গনতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্ছিত বাংলাদেশের জনগণ, মুষ্টিমেয় আওয়ামী স্বৈরতন্ত্র, বাকশাল পন্থি আমলারা মহা খুশিতে যা ইচ্ছে তাই করে চলেছে। তাদের এই অবৈতনিকতার জবাব দেয়ার সময় অতি সন্নিকটে, বাংলাদেশে বিএনপি সরকার প্রতিষ্ঠিত না হইলে স্বাধীনতার সুবিধা দেশের জনগণ উপভোগ করতে পারেনা, বর্তমান সরকার এবং তাদের চামচারা কেহই মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নাই, স্বয়ং তাদের নেতাও আন্তসমর্পন করে দেশের জনগণকে বিপদের মুখে রেখে পাকিস্থান চলে গিয়েছিল। “টেক ব্যেক বাংলাদেশ” জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনামুলক স্লোগানে বাংলাদেশকে স্বাধিনতা বিরোধিদের বিতাড়িত করে জনগনের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে জনাব তালহা মাহমুদ ২৬মার্চ এর উপর আলোচনা করেন উপস্থিত নেতাকর্মিদের মাঝে। তিনি বলেন, শুধু নেতৃত্ব দিয়ে পালিয়ে গেলেই দেশ স্বাধিন হয় না, দীপ্ত হুংকারে ঘোষণা দিয়ে যে শত্রুর সাথে মোকাবেলা করে সেই আসল বীর। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কা-পুরুষ ছিলেন না।
মহান স্বাধীনতার ইতিহাসের পাতা পুর্ন মর্যাদা পাবে না যদি এই বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা লেখা না হয়। তাছাড়া ইতিহাসে খচিত লেখা কখোনো মুছে ফেলা যায় না, দেশের জনগণ সঠিক ইতিহাস অন্তরে গেথে রেখেছে তা মুছে ফালার না, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস যারা পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে তাদের কে ছেড়ে দেয়া হবে না।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন দলের সহসভাপতি এম জে আলম, অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, মোঃ শাখাওয়াত হোসেন সহসভাপতি, ফজলুল করিম সোহরাব, আব্দুল্লাহ আল মামুন লিটন, কাজী সালাহ উদ্দিন সহসাধারন সম্পাদক বিএনপি মালয়েশিয়া, মোঃ আমিনুল ইসলাম রতন দপ্তর সম্পাদক, হাবিবুর রহমান শিশির সহদপ্তর সম্পাদক,ড.ফয়জুল হক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক বিএনপি মালয়েশিয়া, মোঃ আবু সাঈদ বাবুল সভাপতি কাম্পং জাওয়া বিএনপি, মঞ্জ খা সহসভাপতি যুব দল মালয়েশিয়া, যুব নেতা মালয়েশিয়া মোঃ জসিম উদ্দিন, মোঃ রমজান আলি, আরাফাত হোসেন কালু সহসাধারন সম্পাদক যুব দল মালয়েশিয়া, বাদল কারার দপ্তর সম্পাদক, হাসিবুর রহমান শান্ত সহসাংগঠনিক সম্পাদক যুব দল মালয়েশিয়া, মোঃ আবুল বাশার সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রমিক দল মালয়েশিয়া, আলি খান জুয়েল সিনিয়র সহসভাপতি, কাজী সোহেল মাহমুদ যুগ্ন সাধারণ, মোঃ তারেক সালাম সহসাধারন সম্পাদক, হেলাল শিকদার সাংগঠনিক সম্পাদক সেচ্ছাসেবক দল মালয়েশিয়া, আসাদুজ্জামান মাসুম সাবেক আহব্বায়ক জাসাস মালয়েশিয়া, নিগার সুলতানা সাথি সাংগঠনিক সম্পাদক জাসাস মালএশিয়া,আনোয়ার হোসেন সহসভাপতি জিসাস মালয়েশিয়া সহ অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মি বৃন্দ।

উপস্থিত ছিলেন, নজরুল ইসলাম মানিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, এম ফরহাদ হোসেন পলাশ আর্কাইভ বিষয়ক সম্পাদক, কাইসার হামিদ হান্নান তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক বিএনপি মালয়েশিয়া, সাইফুল্লা পলাশ সভাপতি চেরাস বিএনপি, মারুফ এলাহি, মোঃ ইমরান স্বেচ্ছাসেবক নেতা সহ বিএনপি, শাখা কমিটি বিএনপি, যুব দল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জাসাজ ও জিসাস কমিটির অসংখ্য নেতাকর্মি।
দোয়া পর্বে, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বীর উত্তম, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আন্তার, স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত সকল শহীদের আন্তার শান্তি ও সকল মুক্তি যোদ্ধাদের দির্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারা ও রোগ মুক্তি, জনাব তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা করে দোয়া পাঠ করেন দলের সহসভাপতি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তালহা মাহমুদ।